থানার ‘সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্ক’ এখন মোটরসাইকেল গ্যারেজ

- আপডেট সময় : ১২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
- / 18
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ‘সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্ক’। কিন্তু সেই ডেস্কটিই এখন পরিণত হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলের গ্যারেজে। ফলে থানা চত্বরে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ জানাতে এসে বয়স্ক ও নারীদের দীর্ঘ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, একসময় এই সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্কে ডিউটি অফিসার বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ডেস্কে বসে থানায় আসা অভিযোগকারী ও সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের প্রাথমিক সহায়তা প্রদান করতেন। অপেক্ষারত ভুক্তভোগীদের বসার জন্য এখানে চেয়ার-বেঞ্চের ব্যবস্থা ছিল এবং একসঙ্গে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতে পারতেন। এটি ছিল মূলত জনসাধারণের জন্য একটি অপেক্ষাগার এবং তথ্য সহায়তা কেন্দ্র।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ডেস্কটির ভেতরে এখন সারি সারি মোটরসাইকেল পার্ক করা। পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত এই মোটরসাইকেলগুলো স্থান দখল করে নেওয়ায় ভুক্তভোগীদের বসার বা সেবা গ্রহণের কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। ডেস্কের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
সেবা নিতে আসা একাধিক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের কষ্টের কথা। সুলতানা বেগম নামের একজন জানান, আমি এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পায়ে বাত আছে, কিন্তু ভেতরে (ডেস্কের) এতগুলো মোটরসাইকেল! বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। আগে শুনতাম এখানে অনেক ভালো সেবা পাওয়া যেতো, কিন্তু এখন দেখছি এর কোনো গুরুত্বই নেই।
এ ছাড়া বয়স্ক এবং অসুস্থ সেবাগ্রহীতাদের জন্য অপেক্ষার স্থান না থাকায় তাদের অসুবিধা আরও প্রকট হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিবিরুল ইসলামের সরাসরি নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানান, এটি তো সার্ভিস ডেস্ক হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এখন মোটরসাইকেল গ্যারেজ হিসেবে কেউ ব্যবহার করছে কি না এটা আমার জানা নেই। এরকম হয়ে থাকলে মোটরসাইকেল সরিয়ে আবারো সার্ভিস ডেস্ক হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করা হবে।



















