ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 17
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এস আলম সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যাংকটির পরিচালক মিলে ২০ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের দুদকের পিপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

জানা যায়, ২০ জনের মধ্যে ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত ১৩ জন ব্যবসায়ী, ৫ পরিচালক এবং ২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ইয়াসির আরাফাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ৫ পরিচালক ও দুই কর্মকর্তা হচ্ছেন, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক পরিচালক কাজী শহীদুল আলম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ জহুর, পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির।

১৩ ব্যবসায়ী হচ্ছেন চট্টগ্রামের আসদগঞ্জ এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশনের মোরশেদুল আলম, আনছার এন্টারপ্রাইজের আনছারুল আলম চৌধুরী, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউসের এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. গিয়াস উদ্দিন, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউসের মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, গ্রীন ট্রেডার্সের মালিক এম এ মোনায়েম, এঙক্লুসিভ বিজনেস হাউসের ফেরদৌস আহমদ বাপ্পি, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউসের মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও স্যোসাল ট্রেড সেন্টারের আলী জহুর।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতে দুদকের পিপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের অনেকে দেশত্যাগ করার সুযোগ নিচ্ছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় ২০ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক সোমবার আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

16 + 4 =

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এস আলম সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যাংকটির পরিচালক মিলে ২০ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের দুদকের পিপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

জানা যায়, ২০ জনের মধ্যে ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত ১৩ জন ব্যবসায়ী, ৫ পরিচালক এবং ২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ইয়াসির আরাফাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ৫ পরিচালক ও দুই কর্মকর্তা হচ্ছেন, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক পরিচালক কাজী শহীদুল আলম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ জহুর, পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির।

১৩ ব্যবসায়ী হচ্ছেন চট্টগ্রামের আসদগঞ্জ এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশনের মোরশেদুল আলম, আনছার এন্টারপ্রাইজের আনছারুল আলম চৌধুরী, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউসের এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. গিয়াস উদ্দিন, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউসের মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, গ্রীন ট্রেডার্সের মালিক এম এ মোনায়েম, এঙক্লুসিভ বিজনেস হাউসের ফেরদৌস আহমদ বাপ্পি, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউসের মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও স্যোসাল ট্রেড সেন্টারের আলী জহুর।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতে দুদকের পিপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের অনেকে দেশত্যাগ করার সুযোগ নিচ্ছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় ২০ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক সোমবার আবেদনটি মঞ্জুর করেন।