টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজির অভিযোগে শহর বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল লিখিতভাবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেন।

এর আগে মাছ ব্যবসায়ীকে কিলার গ্যাংয়ের প্যাডে (হত্যাকারী দল) একটি চিঠি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বিএনপির ৩ নেতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বহিষ্কার হওয়ার নেতারা হচ্ছেন, শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সদস্য ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া।

পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় রাতে মামলার পর পরই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার পৌর এলাকার সন্তোষে মাছ ব্যবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামের কর্মচারীর হাতে অচেনা একজন একটি চিঠি দিয়ে আসে। শুক্রবার সকালে সেই কর্মচারী ব্যবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামকে চিঠিটি দেয়। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে শেয়ার করস বা আইনি প্রক্রিয়ায় যাস তাহলে তোকে কবর দেয়ার জন্য তোর লাশ পরিবার খুঁজে না পাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।’

চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘মনে রাখবি প্রশাসন তোর সঙ্গে সব সময় থাকবে না। আর বাঁচতে পারবি না। তোর সঠিক বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্ত তুইসহ তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।’

চিঠির শেষ দিকে বলা হয়, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করে যাচ্ছিস। এতে তোর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই। দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছু না। তাই আগস্টের ৩ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার সময় একটি শপিং ব্যাগে করে কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদের ছবি লাগানো আছে সে গাছের নিচে রেখে যাবি।’