ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত পাকিস্তান, শিশুসহ নিহত ১৮০

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / 8

পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টির তীব্রতা এবার আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরু থেকেই অস্বাভাবিকভাবে আগাম ও প্রবল বর্ষা শুরু হয়েছে। ফলে বন্যা ও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) নতুন করে বৃষ্টি, দমকা হাওয়া ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। সিন্ধু প্রদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে করাচি, হায়দরাবাদসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে পিএমডি।

এনডিএমএ জানিয়েছে, সিন্ধুর শহরাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে। নাগরিকদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান না করতে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়টিতে প্রদেশটির বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হতে পারে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলেও ২৪ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলেও বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন।

খাইবার পাখতুনখওয়ায় হিমবাহ গলে যাওয়া পানি ও টানা বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার পাঞ্জাব প্রদেশে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একজন ডুবে, একজন ঘরের ছাদ ধসে এবং আরেকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

পাঞ্জাবের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৫ জুন থেকে বৃষ্টিপরবর্তী দুর্ঘটনায় ১,৫৯৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪৯ জন গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

four − 4 =

ট্যাগস :

প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত পাকিস্তান, শিশুসহ নিহত ১৮০

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টির তীব্রতা এবার আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরু থেকেই অস্বাভাবিকভাবে আগাম ও প্রবল বর্ষা শুরু হয়েছে। ফলে বন্যা ও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) নতুন করে বৃষ্টি, দমকা হাওয়া ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। সিন্ধু প্রদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে করাচি, হায়দরাবাদসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে পিএমডি।

এনডিএমএ জানিয়েছে, সিন্ধুর শহরাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে। নাগরিকদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান না করতে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়টিতে প্রদেশটির বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হতে পারে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলেও ২৪ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলেও বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন।

খাইবার পাখতুনখওয়ায় হিমবাহ গলে যাওয়া পানি ও টানা বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার পাঞ্জাব প্রদেশে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একজন ডুবে, একজন ঘরের ছাদ ধসে এবং আরেকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

পাঞ্জাবের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৫ জুন থেকে বৃষ্টিপরবর্তী দুর্ঘটনায় ১,৫৯৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪৯ জন গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।