ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রক্ত দিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল, নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতার সংখ্যা বেশি

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / 92

উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য রক্ত দিতে সকাল থেকেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশার নারী-পুরুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন রক্ত দিতে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিন দেখা যায়, ইনস্টিটিউট চত্বরে রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রক্তদাতাদের নাম, মোবাইল নম্বর ও রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ করছেন।

রোভার স্কাউট সদস্য মো. হাসান বলেন, আমরা এখন নাম এন্ট্রি করছি। ৮ম তলা থেকে সংকেত এলে একে একে ব্লাড নেওয়া শুরু হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে বুথ প্রস্তুত হয়ে যাবে।

জানা গেছে, রক্তদাতাদের মধ্যে নেগেটিভ গ্রুপধারীর সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ রক্ত দেওয়ার জন্য ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে এসেছেন। ও নেগেটিভ গ্রুপের একজন রক্তদাতা বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। শুনলাম এই গ্রুপের রক্ত দরকার, তাই দেরি না করে চলে এসেছি। শিশুগুলো যেন সুস্থ হয়ে ওঠে, সেই কামনায় রক্ত দিতে এসেছি।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা একজন বলেন, রক্ত না পেয়ে কেউ কষ্টে থাকবে আর আমরা বসে থাকবো—এটা হতে পারে না। তাই ছুটে এসেছি।

নারীরাও পিছিয়ে নেই রক্তদানে। কেরানিগঞ্জ থেকে আসা এক নারী বলেন, আমি ও আমার এক আত্মীয় এসেছি রক্ত দিতে। আরও কয়েকজন রওনা দিয়েছেন। আমরা চাই শিশুরা বাঁচুক, সুস্থ হয়ে উঠুক।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে কড়াকড়ি, নির্দিষ্ট পরিচয় ছাড়া মিলছে না প্রবেশাধিকার
বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত রক্ত মজুত রয়েছে। তবে কোনো গ্রুপের ঘাটতি দেখা দিলে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

7 − 7 =

ট্যাগস :

রক্ত দিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল, নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতার সংখ্যা বেশি

আপডেট সময় : ১২:২৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য রক্ত দিতে সকাল থেকেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশার নারী-পুরুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন রক্ত দিতে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিন দেখা যায়, ইনস্টিটিউট চত্বরে রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রক্তদাতাদের নাম, মোবাইল নম্বর ও রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ করছেন।

রোভার স্কাউট সদস্য মো. হাসান বলেন, আমরা এখন নাম এন্ট্রি করছি। ৮ম তলা থেকে সংকেত এলে একে একে ব্লাড নেওয়া শুরু হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে বুথ প্রস্তুত হয়ে যাবে।

জানা গেছে, রক্তদাতাদের মধ্যে নেগেটিভ গ্রুপধারীর সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ রক্ত দেওয়ার জন্য ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে এসেছেন। ও নেগেটিভ গ্রুপের একজন রক্তদাতা বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। শুনলাম এই গ্রুপের রক্ত দরকার, তাই দেরি না করে চলে এসেছি। শিশুগুলো যেন সুস্থ হয়ে ওঠে, সেই কামনায় রক্ত দিতে এসেছি।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা একজন বলেন, রক্ত না পেয়ে কেউ কষ্টে থাকবে আর আমরা বসে থাকবো—এটা হতে পারে না। তাই ছুটে এসেছি।

নারীরাও পিছিয়ে নেই রক্তদানে। কেরানিগঞ্জ থেকে আসা এক নারী বলেন, আমি ও আমার এক আত্মীয় এসেছি রক্ত দিতে। আরও কয়েকজন রওনা দিয়েছেন। আমরা চাই শিশুরা বাঁচুক, সুস্থ হয়ে উঠুক।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে কড়াকড়ি, নির্দিষ্ট পরিচয় ছাড়া মিলছে না প্রবেশাধিকার
বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত রক্ত মজুত রয়েছে। তবে কোনো গ্রুপের ঘাটতি দেখা দিলে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।