ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 90
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় প্রথমবারের মতো সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম (২৭)।

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির কর্মী। আন্দোলনের সময় পুলিশের হামলায় আমি আহত হয়েছিলাম। আমি আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় থানায় এসে মামলা করলাম।’

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবারের এই মামলায় প্রথমবারের মতো আসামি হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। যদিও এই মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে; ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আ. হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

1 × four =

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১২:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় প্রথমবারের মতো সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম (২৭)।

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির কর্মী। আন্দোলনের সময় পুলিশের হামলায় আমি আহত হয়েছিলাম। আমি আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় থানায় এসে মামলা করলাম।’

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবারের এই মামলায় প্রথমবারের মতো আসামি হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। যদিও এই মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে; ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আ. হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন