সাবেক সিইসি আউয়াল-হুদাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

- আপডেট সময় : ০১:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 5
রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং কে এম নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার এই আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৩ জুন নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২২ জুন বিএনপির পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, এ কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন। বরং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে এবং ভোট ছাড়াই নির্বাচন ‘সম্পন্ন’ করেন তারা।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, এই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম ও নির্যাতনের’ মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন, আচরণবিধি ভঙ্গ ও জনগণের ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা—সবই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার আসামিদের তালিকায় আছেন তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ এবং বর্তমান পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলার বাদীপক্ষের দাবি, দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের হাজার হাজার ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সৎ প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ অনেকেই এ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। ব্যালট পেপারের সিল ও স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করেও প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।