স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার পর লাশে আগুন দিলেন ওবায়দুল

- আপডেট সময় : ১২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 3
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করার পর লাশে আগুন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক চা বিক্রেতার বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না নিহতের স্বজনরা। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার।
নিহতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩ বার বিয়ে করেছিলেন। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করতেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানি অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, এ খবর বলে ইয়াসিন আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগম ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন টয়লেটের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শিশু পুত্র ইয়াসিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে পাওয়া গেলে হয়তো হত্যার কোনো রহস্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খানের ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার বলেন, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। তিনি ২০ দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন। এখানে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।