ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘প্রশাসনের নাকের ডগায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও লুটপাট’

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • / 34

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ করেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের চোখের সামনে সন্ত্রাস, লুটপাট ও চাঁদাবাজি চলছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল মসজিদের অডিটোরিয়ামে পৌরসভার সাবেক জনশক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে থানাকে ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো মামলা নেওয়া হচ্ছে। যেটি হওয়ার কথা সেটির জন্য তদবির লাগে, আর অপ্রয়োজনীয় মামলাই আগে হয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ইউনিয়নের জনজীবন বিপর্যস্ত করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে বলছি—পক্ষপাতিত্ব করবেন না।

তিনি আরও বলেন, রাণিহাটিতে প্রতিদিন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নির্যাতন চলছে। যারা এসব করছে আবার বক্তৃতা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? এসপি-ডিসির দায়িত্ব আছে। আমরা রাণিহাটিকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতে দেব না। যদি আবার চাঁদাবাজি হয়, তবে পুলিশ প্রশাসনই ব্যবস্থা নেবে, যেন জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে না বাধ্য হয়।

জামায়াতের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, এসপি ও ওসির নাকের ডগায় নদী, খাল, মাছের ঘের দখল হচ্ছে, আর আপনারা ভিলেজ পলিটিক্সের নামে একপক্ষের মামলা নিচ্ছেন। প্রশাসন যদি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করে, তবে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, পুরো দেশ তা প্রত্যাখ্যান করবে।

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, রাণিহাটি ও ঘোড়াপাখিয়ায় কারা সন্ত্রাস করছে পুলিশ কি জানে না? তারা কীভাবে বাড়িতে থাকে, কেন গ্রেপ্তার হয় না? প্রশাসন যদি শক্তের ভক্ত আর নরমের জম হয়ে চলে, তাহলে মানুষ তা মেনে নেবে না। খবর এসেছে, নিরীহ জনগণ পুলিশের মাধ্যমে লাঞ্ছিত হচ্ছে। আমি অনুরোধ করছি—নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন, কোনো দলের হয়ে কাজ করবেন না।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা ভিলেজ পলিটিক্স থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলো গ্রুপ বানিয়ে ফায়দা নিতে চায়। এখান থেকে জনগণকে উদ্ধারে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মুখলেসুর রহমান, পৌর আমির হাফেজ গোলাম রাব্বানী, জামায়াত নেতা কবিরুল ইসলাম কবির ও শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

1 × 5 =

ট্যাগস :

‘প্রশাসনের নাকের ডগায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও লুটপাট’

আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ করেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের চোখের সামনে সন্ত্রাস, লুটপাট ও চাঁদাবাজি চলছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল মসজিদের অডিটোরিয়ামে পৌরসভার সাবেক জনশক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে থানাকে ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো মামলা নেওয়া হচ্ছে। যেটি হওয়ার কথা সেটির জন্য তদবির লাগে, আর অপ্রয়োজনীয় মামলাই আগে হয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ইউনিয়নের জনজীবন বিপর্যস্ত করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে বলছি—পক্ষপাতিত্ব করবেন না।

তিনি আরও বলেন, রাণিহাটিতে প্রতিদিন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নির্যাতন চলছে। যারা এসব করছে আবার বক্তৃতা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? এসপি-ডিসির দায়িত্ব আছে। আমরা রাণিহাটিকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতে দেব না। যদি আবার চাঁদাবাজি হয়, তবে পুলিশ প্রশাসনই ব্যবস্থা নেবে, যেন জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে না বাধ্য হয়।

জামায়াতের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, এসপি ও ওসির নাকের ডগায় নদী, খাল, মাছের ঘের দখল হচ্ছে, আর আপনারা ভিলেজ পলিটিক্সের নামে একপক্ষের মামলা নিচ্ছেন। প্রশাসন যদি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করে, তবে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, পুরো দেশ তা প্রত্যাখ্যান করবে।

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, রাণিহাটি ও ঘোড়াপাখিয়ায় কারা সন্ত্রাস করছে পুলিশ কি জানে না? তারা কীভাবে বাড়িতে থাকে, কেন গ্রেপ্তার হয় না? প্রশাসন যদি শক্তের ভক্ত আর নরমের জম হয়ে চলে, তাহলে মানুষ তা মেনে নেবে না। খবর এসেছে, নিরীহ জনগণ পুলিশের মাধ্যমে লাঞ্ছিত হচ্ছে। আমি অনুরোধ করছি—নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন, কোনো দলের হয়ে কাজ করবেন না।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা ভিলেজ পলিটিক্স থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলো গ্রুপ বানিয়ে ফায়দা নিতে চায়। এখান থেকে জনগণকে উদ্ধারে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মুখলেসুর রহমান, পৌর আমির হাফেজ গোলাম রাব্বানী, জামায়াত নেতা কবিরুল ইসলাম কবির ও শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।