ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প, থাকবেন টনি ব্লেয়ারও

অপরাধদৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 37

যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য বৈশ্বিক নেতারাও থাকবেন। যার মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম রয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই তথ্য জানান বলে বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়েছে দখলদাররা।

তবে গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনো প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি শুনতে পাচ্ছেন হামাসও এতে রাজি হবে।

আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জীবিত মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। এরপরই হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। এরপর গাজায় গঠিত হবে একটি সরকার বা প্রশাসন। আর এ প্রশাসনের প্রধান হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে।

আরব ও ইসরায়েলিদের অনুরোধেই তিনি এ দায়িত্ব নিচ্ছেন দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে তৈরি এ অন্তর্বর্তী সরকারের নাম হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি প্রশাসন। যেটির প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এই সরকারের দায়িত্ব থাকবে গাজা ও হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করা।

গাজার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করবে। এ ছাড়া, তারা ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে পরবর্তীতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার গঠন করবেন। সঙ্গে গাজায় একটি সুশঙ্খল পুলিশ বাহিনী গঠন করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। এ কারণে তাকে ইরাকের কসাই হিসেবেও অনেকে অভিহিত করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

4 − 1 =

ট্যাগস :

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প, থাকবেন টনি ব্লেয়ারও

আপডেট সময় : ১১:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য বৈশ্বিক নেতারাও থাকবেন। যার মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম রয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই তথ্য জানান বলে বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়েছে দখলদাররা।

তবে গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনো প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি শুনতে পাচ্ছেন হামাসও এতে রাজি হবে।

আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জীবিত মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। এরপরই হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। এরপর গাজায় গঠিত হবে একটি সরকার বা প্রশাসন। আর এ প্রশাসনের প্রধান হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে।

আরব ও ইসরায়েলিদের অনুরোধেই তিনি এ দায়িত্ব নিচ্ছেন দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে তৈরি এ অন্তর্বর্তী সরকারের নাম হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি প্রশাসন। যেটির প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এই সরকারের দায়িত্ব থাকবে গাজা ও হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করা।

গাজার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করবে। এ ছাড়া, তারা ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে পরবর্তীতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার গঠন করবেন। সঙ্গে গাজায় একটি সুশঙ্খল পুলিশ বাহিনী গঠন করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। এ কারণে তাকে ইরাকের কসাই হিসেবেও অনেকে অভিহিত করে থাকেন।