ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৬০

অপরাধদৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / 26

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সেবু দ্বীপ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। এতে দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকায় বহু ভবন ধসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। খবর রয়টার্স।

দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত বোগো শহরের কাছে। শহরটিতে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানেই চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

বোগো শহরের কাছাকাছি সান রেমিগিও পৌর এলাকায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাবুয়েলানে এলাকায়ও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সান রেমিগিও এলাকার একটি খেলাধুলার স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের সদস্য। একই এলাকার আরেক স্থানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক শিশু মারা গেছে।

স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা উইলসন রামোস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। রাতের অন্ধকার এবং ভূমিকম্প-পরবর্তী একাধিক পরাঘাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ভূমিকম্পের প্রভাবে বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ব্যাপক ধ্বংস সাধিত হয়েছে। এতে সেবু শহরসহ আশপাশের এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে মধ্যরাতের পর ফিলিপাইনের ন্যাশনাল গ্রিড করপোরেশন জানিয়েছে, সেবুসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে অবস্থিত বানতাইয়ান শহরের ২৫ বছর বয়সী বাসিন্দা মারথাম প্যাসিলান বলেন, ভূমিকম্পের সময় তিনি একটি ক্ষতিগ্রস্ত গির্জার কাছে ছিলেন। হঠাৎ তিনি গির্জার দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান এবং দেখতে পান পাথর ভেঙে পড়ছে। তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আহত হননি।

মারথাম বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

one × one =

ট্যাগস :

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৬০

আপডেট সময় : ১১:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সেবু দ্বীপ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। এতে দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকায় বহু ভবন ধসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। খবর রয়টার্স।

দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত বোগো শহরের কাছে। শহরটিতে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানেই চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

বোগো শহরের কাছাকাছি সান রেমিগিও পৌর এলাকায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাবুয়েলানে এলাকায়ও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সান রেমিগিও এলাকার একটি খেলাধুলার স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের সদস্য। একই এলাকার আরেক স্থানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক শিশু মারা গেছে।

স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা উইলসন রামোস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। রাতের অন্ধকার এবং ভূমিকম্প-পরবর্তী একাধিক পরাঘাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ভূমিকম্পের প্রভাবে বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ব্যাপক ধ্বংস সাধিত হয়েছে। এতে সেবু শহরসহ আশপাশের এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে মধ্যরাতের পর ফিলিপাইনের ন্যাশনাল গ্রিড করপোরেশন জানিয়েছে, সেবুসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে অবস্থিত বানতাইয়ান শহরের ২৫ বছর বয়সী বাসিন্দা মারথাম প্যাসিলান বলেন, ভূমিকম্পের সময় তিনি একটি ক্ষতিগ্রস্ত গির্জার কাছে ছিলেন। হঠাৎ তিনি গির্জার দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান এবং দেখতে পান পাথর ভেঙে পড়ছে। তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আহত হননি।

মারথাম বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।’